ল্যাপটপ কেনার সময় যে ১০টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ।

ল্যাপটপ কিনার ‍আগে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে তার  উপর ভিত্তি করে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ক্রমান্বয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।বর্তমানে অনেকেই ডেস্কটপ এর চেয়ে ল্যাপটপকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। ফলে ল্যাপটপ সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার ফলশ্রুতিতে ক্রয় করতে গিয়ে ভালোই বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়। তাই আমরা দশটি ল্যাপটপ বায়িং গাইড নিয়ে আলোচনা করব যেন পরবর্তীতে ল্যাপটপ ক্রয় করার সময় কোন সমস্যা সম্মুখীন হতে না হয়।



ল্যাপটপ কেনার সময় যে ১০টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে



১. সাইজ

 ল্যাপটপ কিনার কথা আসলে সাইজ হল মুখ্য বিষয়। আপনি ল্যাপটপ দিয়ে কি করবেন তার উপর নির্ভর করে ল্যাপটপের চাইজ।চাইজ রেম রম এর মত নয় যে  ইচ্ছে করলেই পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি যদি বেশি বেশি ভ্রমণ করেন তখন আপনার জন্য হালকা-পাতলা ল্যাপটপ বা আলট্রাবুক ভালো হবে। সাধারণত  ল্যাপটপ ব্র্যান্ডগুলো 13.3 ইঞ্চি 15.6 ইঞ্চি এবং 17.3 ইঞ্চি ল্যাপটপ বাজারে এনে থাকে। মোটামুটি 12.5 ইঞ্চি থেকে 13.3 ইঞ্চির পর্যন্ত সাইজের  ল্যাপটপগুলো 1 কেজি থেকে 1.5 কেজি ওজনের হয়ে থাকে। তবে মনে রাখবেন 13. 3 ইঞ্চি সাইজের ল্যাপটপ ভারী অ্যাপ্লিকেশনগুলো  গুলো সাপোর্ট করবে না, তাই 15.6 ইঞ্চি ল্যাপটপ এই সুবিধা পাবেন 13.3 ইঞ্চি ল্যাপটপ এ সুবিধা পাবেন না।


২. স্ক্রীন কোয়ালিটি 


যেহেতু আপনাকে ল্যাপটপের সামনে দীর্ঘক্ষন বসে থাকতে হবে তাই ল্যাপটপ কেনার সময় এমন স্ক্রিন দেখে কিনুন যা ব্যবহার করে আরাম পাওয়া যাবে। এমনকি ল্যাপটপে টাচস্ক্রিনের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে পারেন, টাচস্ক্রিন ব্যবহার অনেক সুবিধা রয়েছে যা অন্যগুলোতে পাওয়া যায় না। ভালো স্কিন সুবিধার ক্ষেত্রে 1920 ×1080 পিক্সএলআর স্কিন সর্বোচ্চ বিবেচনা রাখবেন এটি না পাওয়া গেলে 720 পিক্সেল এটা নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

৩. কিবোর্ড 

Laptop bying guide।


ভালো টাইপিং এর জন্য আপনার সুবিধা অনুযায়ী কিবোর্ড দেখে কিনবেন। কিবোর্ডে এ বেকলেইট
আছে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন তাহলে অন্ধকারে টাইপিং করতে সমস্যা হবে না এবং খেয়াল রাখবেন যেন কিওয়ার্ডগুলোর মধ্যে যেন পর্যাপ্ত ফাঁকা থাকে তাহলে ইউজ করার সময় কম্ফোর্টেবল ফিল করবেন

. সিপিইউ 


কম্পিউটারের মূলই  হচ্ছে সিপিইউ, তাই কম্পিউটার পারফরম্যান্স এবং ওভারঅল সবকিছুই সিপিইউর  উপর নির্ভর করে।
বর্তমান বাজারে ইন্টেলের core i সিরিজের সিপিও প্রসেসরগুলো ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। সাধারণ কাজের জন্য core  i3 এবং core i5 ফাইভ আর হেভি কাজের জন্য core i5,i7,i9 রয়েছে সেই সাথে কেরের সাথে  জেনারেশন গুলো দেখে নিবেন। বর্তমানে সর্বোচ্চ cire i9 র  দশম জেনারেশন চলছে।

৫. গ্রাফিক্স


আপনার যদি ল্যাপটপ দিয়ে ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, থ্রিডি কাজ  করার ইচ্ছা  থাকে তাহলে এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড যুক্ত ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে এনভিডিয়া জিটিএক্স 1050 থেকে পরবর্তী যে কোন গ্রাফিক্স কার্ড যুক্ত ল্যাপটপ নিলেই হবে আর যদি হেভি কাজ করার কোন ইচ্ছা না থাকে তাহলে এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড যুক্ত ল্যাপটপ না কিনলে ও হবে।

৬. স্টোরেজঃ 


অনেকদিন ধরে হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার হয়ে আসলেও বর্তমানে তাদের অবস্থান বেশি সুবিধের নয়, বিশেষ করে হালকা-পাতলা ল্যাপটপ এর জন্য বর্তমানে হার্ডড্রাইভের স্থানে এসএসডি মার্কেট ধরে নিচ্ছে। কারণ এসএসডি হার্ডড্রাইভের চেয়ে দ্রুত কাজ। তাই একটু বাজেট বাড়িয়ে এসএসডি স্টোরিজ নিয়ে নিলে আপনি নিজেই এর ফলাফল দেখতে পাবেন। তবে এসএসডির একটি অসুবিধা হলো এটার দাম বেশি এবং 512gb উপরে পাওয়া যায় না। 250gb এসএসডি দাম দিয়ে 2 টিভির একটি হার্ডড্রাইভ কিনা যাবে।

৭. ব্যাটারি 


একটি ল্যাপটপ স্ক্রীন ব্রাইটনেস, স্ক্রিন রেজুলেশন, কতগুলো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেন, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক, ব্লুটুথ ডিভাইস সবকিছুর উপর নির্ভর করে আপনার ব্যাটারি লাইফ। তাই আপনি কি উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন তারপর নির্ভর করে ভালো মানের ব্যাটারি সমৃদ্ধ ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করবেন। যেসকল ব্যাটারির গায়ে 44Wh বা  50Wh লেখা থাকে সেগুলো বেশি সময় ধরে চার্জ সংরক্ষণ করতে পারে। বর্তমানে ল্যাপটপের অফিশিয়াল ফিচার থেকে ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।

৮. রেম

আপনার ল্যাপটপের অবশ্যই সর্বনিম্ন 4gb রেম  হতে হবে। তবে বর্তমানে আপনি চাইবেন যে মিনিমাম 6 জিবি অথবা  8 জিবি, আর আপনি যদি power-user হন তাহলে 16gb আপনার জন্য বেটার আর একজন গেমার হলে তাহলে 32 জিবি সবচেয়ে ভালো হবে। রেম বেশি হলে একই সময়ে অনেকগুলো  অ্যাপলিকেশন ইউস করতে পারবেন এবং খুব দ্রুত আপনি আপনার সিস্টেমে ঢুকতে পারবেন। বিশেষ করে ভিডিও এডিটিং ফটো এডিটিং এ বেশি রেমই  আপনার প্রয়োজন হবে।

৯. ইউএসবি 3.0 


বর্তমানে যদি কোন ল্যাপটপের তিনটি চেয়ে কম ইউএসবি পোর্ট থাকে তাহলে আপনার নতুন একটি ল্যাপটপ কেনার কথা মনে আসবে। সর্বনিম্ন 3.ousb পোর্ট বিশিষ্ট ল্যাপটপ কিনবেন তাহলে ডেটা ট্রান্সফারের সময় ভালো স্পীড পাবেন।


১০. ওয়ারলেস কানেকশন এবং ব্লুটুথ 


ল্যাপটপ কিনার সময় ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টার দেখে কিনবেন যাতে পরে সমস্যা না হয়। ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপটি কি ধরনের ওয়্যারলেস কানেকশন সাপোর্ট করে তা দেখে নিবেন। । ব্লুটুথ 4.0 দেখে কিনবেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ